বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক
ভূমিকা
বিশ্বের তাপমাত্রা গত কয়েক দশকে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৮৮০ সাল থেকে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, যা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের
পরিমাণ বৃদ্ধি করে। Greenhouse গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনা ঘটছে। যেমন, তীব্র
তাপপ্রবাহ, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। এই ঘটনাগুলি মানুষের জীবন ও সম্পত্তির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ
বিশ্বের temperature বৃদ্ধির মূল কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানির দহন।
জীবাশ্ম জ্বালানি হল কয়লা, তেল এবং গ্যাস। এই জ্বালানিগুলি পুড়িয়ে উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড।
এই গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে কাজ করে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যান্য কারণগুলি হল
বন উজাড় কৃষিক্ষেত্রে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার শিল্পকারখানার নির্গমন বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনা ঘটছে। যেমন:
তীব্র তাপপ্রবাহ
খরা
বন্যা
ঘূর্ণিঝড়
সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি
এই ঘটনাগুলি মানুষের জীবন ও সম্পত্তির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। যেমন,
তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যহানি ও প্রাণহানি ঘটে।
খরার ফলে ফসলহানি ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হয়।
সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে করণীয়
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা বনায়ন করা শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করা হলে বিশ্বের temperature বৃদ্ধির গতি কমানো সম্ভব হবে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানির দহন।
জীবাশ্ম জ্বালানি হল কয়লা, তেল এবং গ্যাস। এই জ্বালানিগুলি পুড়িয়ে উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড।
এই গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে কাজ করে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের পাশাপাশি বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যান্য কারণগুলি হল
বন উজাড় বনগুলি বায়ুমণ্ডল থেকে carbon dioxide শোষণ করে। বন উজাড়ের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
কৃষিক্ষেত্রে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার সার ও কীটনাশক উৎপাদনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হয়।
এছাড়াও, সার ও কীটনাশক বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
শিল্পকারখানার নির্গমন শিল্পকারখানার নির্গমন থেকে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনা ঘটছে। যেমন,
তীব্র তাপপ্রবাহ: তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যহানি ও প্রাণহানি ঘটে।
খরা: খরার ফলে ফসলহানি ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
বন্যা: বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড়: ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হয়।
সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়।
এই ঘটনাগুলি মানুষের জীবন ও সম্পত্তির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে করণীয়
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
বনায়ন করা বনায়নের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করা যেতে পারে।
শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা শিল্পকারখানার নির্গমনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস করা যেতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করা হলে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি কমানো সম্ভব হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির দহন
জীবাশ্ম জ্বালানির দহন হল বিশ্বের temperature বৃদ্ধির মূল কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানি হল কয়লা, তেল এবং গ্যাস।
এই জ্বালানিগুলি পুড়িয়ে উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড।
এই গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে কাজ করে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের অনেকগুলি সম্ভাব্য প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে
উচ্চতর তাপমাত্রা: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রভাব হল উচ্চতর তাপমাত্রা।
গত ১০০ বছরে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বৃদ্ধিটি ইতিমধ্যেই পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে, যেমন দীর্ঘতর, আরও তীব্র গ্রীষ্মকাল, দীর্ঘতর, আরও তীব্র শীতকাল, এবং বর্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে আরও অনিয়মিততা।
জীববৈচিত্র্যের হ্রাস: জলবায়ু পরিবর্তন জীববৈচিত্র্যের হ্রাস ঘটিয়ে চলেছে। অনেক উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাসস্থান পরিবর্তিত হচ্ছে, যার ফলে তাদের বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়।
পৃথিবীর জলবায়ু মডেলের পরিবর্তন:জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর জলবায়ু মডেলের পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে।
পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে বর্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে আরও অনিয়মিততা, ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং তুষারপাতের ধরন এবং পরিমাণে পরিবর্তন।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল সমস্যা যা অনেকগুলি কারণ এবং প্রভাব জড়িত।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য, আমাদের এই সমস্যার কারণগুলি বোঝা এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
Greenhouse gases নির্গমন হ্রাস গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার
জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার জন্য আমরা জ্বালানি দক্ষতা
উন্নত করতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এবং পরিবহন এবং শিল্পের মতো উচ্চ নির্গমনকারী খাতগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য আমরা
শুধুমাত্র Greenhouse gases নির্গমন হ্রাস করতেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতেও পদক্ষেপ নিতে হবে।
এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বর্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে অনিয়মিততা এবং তীব্র আবহাওয়ার ঘটনার মতো প্রভাবগুলির জন্য প্রস্তুতি এবং অভিযোজন জড়িত।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা সমাধানের জন্য বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রয়
উপসংহার
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা সমগ্র মানবজাতিকে প্রভাবিত করছে। এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
পাচ্ছে, এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হল মানব কার্যকলাপের ফলে নির্গত গ্রীনহাউজ গ্যাস। এই গ্যাসগুলি সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে, যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র, Europe, এবং Asia খরা, বন্যা, এবং ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা বেড়েছে। এছাড়াও, সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে জলাবদ্ধতা এবং লবণাক্ততার ঝুঁকি বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলার জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন, উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, খরা-প্রবণ অঞ্চলগুলিতে পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল সমস্যা, কিন্তু এটি সমাধান করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি মোকাবেলা করা সম্ভব।